এবিএনএ: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বের চার সদস্যের একটি দল। আজ বৃহস্পতিবারদুপুর পৌনে ১টার দিকে তারা সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যান। দুদক সূত্রে জানা গেছে, তারা বেশকিছু দাবি ও সুপারিশ পেশ করবেন সেখানে। পরে তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, গতকাল বুধবার দুপুরে মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজি, হয়রানি, নির্যাতন ও বিভিন্ন সেতুতে টোল আদায় বন্ধ নিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দেন সারজিস আলম।
ফেসবুক পোস্টে সারজিস বলেন, ‘দুটি জরুরি বিষয় নিয়ে আমাদের কথা বলার আছে। একটি হলো বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৫টি সেতুতে ছাত্রদের কথা বলে টোল আদায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা হলো এটি রাষ্ট্রের আয়ের উৎস। ফলে কেউ স্টুডেন্টদের কথা বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম অপব্যবহার করে এ কাজ করবেন না। প্রতিটি ব্রিজে টোল দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোনো ত্রাণের ট্রাক কোথাও গেলেও টোল দিতে হবে। কেননা দেশকে স্থিতিশীল করতে হলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আওয়ামী লীগ ক্ষমতার অপব্যবহার করে হয়েছে। তাদের দল বাদে অন্য সব রাজনৈতিক দলগুলোর নামে মিথা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে, চাঁদাবাজি করেছে, এলাকাছাড়া করেছে। এটিকে আমরা কোনোভাবে সমর্থন করি না। কিন্তু আজকে ১৬ বছর পর ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতন হয়েছে। আজকের এই গণঅভ্যুত্থানের পর একটি দল বা দলের নেতাকর্মীরা একই কাজ করেন তাহলে তাদের থেকে কি শিক্ষা নিলেন? আমরা নির্যাতকের পরিবর্তন চাই না, নির্যাতনের সিস্টেমের পরিবর্তন চাই।’